বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সমূহ............

তাজিংডং

এখানে শুধু বেড়ানোই নয়, থাকতে হবে দুঃসাহসিক মন-মানসিকতা। গোটা বান্দরবানকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা চলে। এখানকার মূল আকর্ষণই হলো যান্ত্রিক শহরের বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চল আর মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়। এখানে ভ্রমণপিপাসুরা শুধু ভ্রমণেই আসেন না, আসেন দুঃসাহসিকতা দেখাতে। সবুজের সমারোহ আর মেঠো পথ ধরে বেয়ে ওঠা পাহাড় আর পাহাড়।
প্রাকৃতিক ললনা বান্দরবানের নৌসর্গিক সৌন্দর্যের এসব পাহাড়ের আদ্যোপান্ত নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের আয়োজন।

অফুরন্ত সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের মূল আকর্ষণগুলোই রয়েছে শহরের বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এসব জায়গা না দেখলে বাংলার প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য অদেখাই রয়ে যাবে। কিন্তু এসব জায়গা ভ্রমণ করতে হলে থাকতে হবে দুঃসাহসিক মন-মানসিকতা। বেয়ে উঠতে হবে পাহাড়ের পর পাহাড়। শীতের এই সময়টা তো বান্দরবানের রূপ-বৈচিত্র্য অসাধারণ। বান্দরবানের তাজিংডং পাহাড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘের খেলা বছরজুড়েই। শীতের দিনে পাহাড়ের সবুজ রং হারানো কুয়াশায় মোড়ানো পথ বেশ উপভোগ্য। উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ, পথে পথে ছোট জুম ঘর। পাহাড়ের চূড়া বেয়ে নামছে সকালের নির্মল সোনালি রোদ।
তাজিংডং

তাজিংডং

তাজিংডং

তাজিংডং

তাজিংডং

তাজিংডং

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি এসি, নন-এসসি বাসে আসতে পারবেন বান্দরবান। তবে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবান আসতে হলে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে আসতে হবে। বাসে সময় লাগবে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা। তবে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের গাড়িতে করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানিহাট রাস্তারমোড়ে নেমে গিয়ে পৃথক গাড়িতে বান্দরবান আসতে পারবেন। কেরানিহাট থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। সময় লাগে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন
বান্দরবানে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্টহাউস রয়েছে। এ ছাড়া তাঁবুতে রাত যাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এখানে থাকতে প্রতিদিন রুমপ্রতি গুনতে হবে দেড় থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক আকর্ষণীয় কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে। এখানে থাকতে হলে প্রতিদিন গুনতে হবে ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। পর্যটন মোটেলেও সপরিবারে রাত যাপন এবং খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে রাত যাপনে গুনতে হবে রুমপ্রতি দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রয়োজনীয় তথ্য
তাজিংডং ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ভ্রমণের সময় শুকনো খাবার, খাবার পানি, জরুরি ওষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে। যাত্রাপথ দুর্গম ও কষ্টসাধ্য হওয়ায় মহিলা ও শিশুদের না নেওয়াটাই ভালো। রুমা উপজেলা সদরে রাত যাপনের জন্য কয়েকটি হোটেল থাকায় দলবেঁধে যাত্রা করার আগে হোটেল বুকিং করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

আমাদের ফেসবুক পেইজ ভিজিট করুন: Beautiful Bangladesh






0 comments:

Post a Comment

Comments system